শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫ , ০৫:২৮ পিএম
দুই বছর আগে মিরপুরে একটি টেলিফিল্মের শুটিং চলাকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহত হন নাট্য অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে যায়। দীর্ঘ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাকে ফিরতে হয়েছে স্বাভাবিক জীবনে।
এখনও সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি ভুলতে পারেননি আঁখি। তাই উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহত শিশুদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে একটি সচেতনতামূলক বার্তা দিয়েছেন ফেসবুকে।
তিনি বলেন, আগুনে পুড়লে যে যন্ত্রণা হয়, সেটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। আমি সেটা টের পেয়েছি প্রতিটি সেকেন্ডে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা চলাকালে তাদের হাসপাতালে দেখতে না যাওয়ার জন্য।
তার ভাষায়, আগামী এক সপ্তাহ শিশুদের কাছে যতটা সম্ভব কম মানুষ যাওয়া উচিত। কারণ পোড়ার পর সবচেয়ে ভয়াবহ সমস্যা হচ্ছে ইনফেকশন। যেখানেই চামড়া পুড়ে গেছে, সেখানে জীবাণু প্রতিরোধের কোনো প্রাকৃতিক সুরক্ষা থাকে না। এই সময় আবেগ নয়, প্রয়োজন জ্ঞান ও সচেতনতা।
তিনি আরও বলেন, পোড়ার যন্ত্রণা শুধু বাইরের নয়, ভেতরেরও। ড্রেসিং করার সময় মনে হয় মৃত্যু তার চেয়েও সহনীয়। নতুন করে গজানো চামড়া আবার উঠিয়ে ড্রেসিং করতে হয়। এ এক অসহনীয় প্রক্রিয়া। এখন যারা আহত হয়েছে, তাদের শরীর শুধু নয়, মনও ভীষণ আঘাতপ্রাপ্ত। ট্রমা শুরু হবে কিছুদিন পর থেকে। তাই খুব সতর্ক হতে হবে। সবার প্রতি তার আবেদন এই শিশুদের পাশে দাঁড়াতে হলে আগে বুঝতে হবে তাদের প্রয়োজন কী।
শারমিন আঁখি বলেন, এই সময়ে শুধু ডাক্তারদের হাতেই তাদের থাকা উচিত। তারা যখন বাড়ি ফিরবে, তখন দরকার হবে মনোসামাজিক সাপোর্ট। আমিও পুড়ে যাওয়ার পর তিন মাস মনোসামাজিক চিকিৎসা নিয়েছিলাম। মানসিক সুস্থতা না থাকলে শারীরিক সুস্থতা অর্থহীন হয়ে যায়।
আরটিভি/এএ/এআর