বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫ , ১০:২৪ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান বলেছেন, যে যতই চেষ্টা করুক না কেন, নির্বাচন কেউ বানচাল করতে পারবে না। হতে পারে কিছুটা দেরি হবে, তবে নির্বাচন হবেই, কারণ নির্বাচন ছাড়া দেশের সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে কসবা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুশফিকুর রহমান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থিতিশীলতা আনতে পারছে না। আমরা চাই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, কিন্তু একটি পক্ষ তা ব্যাহত করার চেষ্টায় লিপ্ত। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ আমাদের পাশের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র আমাদের প্রকৃত মঙ্গল চায় না। তাই নিজেদের মঙ্গল নিজেরাই ভাবতে হবে, আর সেই পথ হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
আনুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি কখনও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে যাবে না। আমরা চাই সার্বজনীন ভোটাধিকার,জনগণ যেন নিজে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার কখনোই স্থিতিশীল হবে না। ৩০টি দল থেকে ৩০ জন নেতা এলে সেখানে ঐক্য বা স্থায়ীত্ব সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, যে কেউ জনগণের ভোটে জিতবে, সে-ই ক্ষমতায় যাবে। আমরা হারলেও আপত্তি নেই, কিন্তু নির্বাচন হতে হবে জনগণের ভোটে।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই প্রস্তাব প্রথম দিয়েছিল বিএনপি। এখন অনেকেই এটি নিয়ে কথা বলছে। দেশের পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এটি প্রয়োজন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ বছরে একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, নির্যাতন, কারাবরণসহ নানা নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। এখন সেই সরকার চলে গেলেও বিএনপি টিকে আছে, একজন সদস্যও দল ছেড়ে যায়নি।
তিনি শহিদ নেতাকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা শহিদ হয়েছেন তাদের আত্মত্যাগ আমরা ভুলব না। গত ১৭ বছর বিএনপি শুধু একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছে, যাতে আর কোনো ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে ফিরে না আসে। কসবায় মাদক, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ১৭ বছর কসবার ইতিহাস দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং মাদকের ইতিহাস। মাদক আজ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে। রাজনীতির নামে এখন ব্যবসা চলছে।
কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার নাজমুল হুদা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, সদস্য খন্দকার বিল্লাল হোসেন, আবু হানিফ, কসবা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফ আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কসবা উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/একে