রোববার, ২৮ মে ২০২৩ , ০৫:৪৭ পিএম
বিদেশ থেকে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানির পর তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় করিয়ে না নেওয়ায় মোংলা বন্দরে নিলামে উঠছে ১৪৭ বিলাসবহুল ব্যবহৃত গাড়ি।
আগামী ৫ জুন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো নিলামে তুলবেন কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।
নিলামে থাকছে ১৯৯৩, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯, ২০১১, ২০১৩, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের নিশান, পাজেরো, এক্সিও হাইব্রিড, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, অ্যাকুয়া হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিলডার, হায়েসেরমতো বিলাসবহুল গাড়ি।
ইতোমধ্যেই নিলামের দরপত্র বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে। নিলামে অংশগ্রহণকারিদেরকে আগামী ৩১ মে’র মধ্যে ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও মোংলা কাস্টমস হাউসে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। অনলাইনেও দরপত্র জমা দেওয়া যাবে। দরপত্র সংগ্রহকারীরা বন্দরের কার ইয়ার্ড ও সেডসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা গাড়িগুলো দেখার সুযোগ পাবেন।
মোংলা কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (নিলাম শাখা) ছবি রানী দত্ত জানান, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত রিকন্ডিশন গাড়িগুলো ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করিয়ে নেওয়ার নিয়ম থাকলেও আমদানিকারকরা তা করেন না। এরপরও আমদানিকারকদের ৩০ দিন সময়ের বাইরে অতিরিক্ত আরও ১০দিন সময় দেওয়ার পরও গাড়ি ছাড় করিয়ে না নেওয়ায় নিয়মানুযায়ী তা নিলামে তোলা হয়। পরে নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতাদের গাড়িগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
মোংলা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা কাস্টমসের মোট রাজস্ব আয়ের ৫২ শতাংশ আসে আমদানিকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্ক থেকেই। আমদানিকৃত গাড়ি নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়িয়ে না নেওয়ায় তা নিলাম দেওয়া হয়। তা না হলে বন্দরে গাড়িসহ অন্যান্য পণ্যের জটলা সৃষ্টি হয়। ফলে নিলাম প্রক্রিয়া চালু থাকলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্যের জট কমার পাশাপাশি বন্দর ব্যবহারকারীরা এ বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন। অপরদিকে নিয়ম অনুযায়ী নিলাম থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ও অব্যাহত থাকবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) কালা চাঁদ সিংহ বলেন, জাপান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির আমদানি শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালের ৩ জুন। সে সময় প্রথম চালানে ২৫৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির মধ্য দিয়ে এ বন্দরে গাড়ি আমদানির সূচনা করেন ঢাকার হক-বে অটোমোবাইল কোম্পানি। এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে ২২ হাজার ৪৩৭টি গাড়ি আমদানি করেছেন বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরও বলেন, আমদানিকৃত গাড়ির ৬০ ভাগই খালাস হচ্ছে মোংলা বন্দর দিয়ে। আর ৪০ ভাগ খালাস হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। মোংলা বন্দরে কার ইয়ার্ড, সেড ও গোডাউন সুবিধার কারণে আমদানিকারকরা এ বন্দর ব্যবহারে বেশি আগ্রহী।