images

জাতীয় / অপরাধ / দেশজুড়ে

মা রহিমা বেগমকে নিয়ে ঢাকায় মরিয়ম

সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১১:২০ পিএম

নিখোঁজের পর উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগমকে নিয়ে খুলনা থেকে ঢাকায় চলে এসেছেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনায় আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর রওনা হয়ে রাত আড়ইটার দিকে ঢাকায় পৌঁছান তারা।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মরিয়ম মান্নান। 

তিনি বলেন, গতকাল মাকে নিয়ে বয়রার বাসায় গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে মায়ের জন্য নিরাপদ মনে হয়নি। তাই রাতেই মাকে নিয়ে ঢাকায় আসি।

মরিয়ম আরও জানান, রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার বাসায় তাদের সঙ্গে ছোট বোন আদুরি বেগম ও বড় দুলাভাই রয়েছেন।

সোমবার মা রহিমা বেগমকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজবাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে নিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা। পরে আর ঘরে ফেরেননি তিনি। অন্যদিকে স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। এ সময় একই দিন রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়-স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা।

অবশেষে টানা ২৮ দিন পর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় দিকে রহিমা বেগমকে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর পুলিশ সদস্যরা রহিমার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি। তবে যে বাড়িতে রহিমা বেগম অবস্থান করছিলেন সেই বাড়ির বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, রহিমা তাদেরকে জানিয়েছেন তিনি বেশ কয়েক দিন চট্টগ্রাম ও মোকসেদপুরে ছিলেন। এরপর ১৭ আগস্ট রহিমা বেগম তাদের বাড়িতে আসেন। তখন তার একটি ব্যাগে দুই প্যাকেট বিস্কুট, কিছু কাগজপত্র ও পরনের কয়েকটি কাপড় ছিল।

রহিমা বেগমকে যে বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক কুদ্দুস একসময় খুলনায় রহিমার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।

এ দিকে নিখোঁজের ঘটনায় রহিমা বেগমের সন্তানদের মামলায় ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। তবে আটকৃতদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে আত্মগোপন করেছিলেন রহিমা বেগম। বিষয়টি জানতেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা।