রোববার, ০৯ জুলাই ২০১৭ , ১২:২২ পিএম
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলছে। রোববার সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জ অংশে যমুনার পানি বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হবার কারণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার কাজিপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি এবং সদর উপজেলার পাঁচটিসহ উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইমাম জানান, আসছে ৪-৫ দিন পানি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। শহর রক্ষা বাধগুলো যাতে ভেঙে না যায় সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ২০০৭ সালে ভেঙে যাবার পর আর সংস্কার করা হয়নি। ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে রানীগ্রাম, গুনেরগাতী ও খোকশাবাড়ী এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। যমুনার পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে এ অঞ্চলের আরো বেশ কয়েকটি এলাকাসহ ও ফসলি জমি পানিতে ডুবে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন তারা।
অন্যদিকে, একদিনের ব্যবধানে টাঙ্গাইলের নলীন পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় জেলার ভুঞাপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও গোপালপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নের লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৗশলী শাহজাহান সিরাজ বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে এ নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসএস