images

রাজধানী

মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫ , ১০:১০ পিএম

বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অপসারণের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার সামনে ‘ঐক্যবদ্ধ মোহাম্মদপুর’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে স্থানীয় বাসিন্দা পারভেজ হাসান সুমন বলেন, মোহাম্মদপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে বাসিন্দাদের সঙ্গে অসদাচরণ, আইনি সহায়তা না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ থাকার পরও তাকে অপসারণ করছে না। তিনি মোহাম্মদপুরের মতো একটা ক্রাইম জোনে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের সঙ্গে আঁতাত করে চলেন। যার ফলে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হচ্ছে। এত অভিযোগ, এত অসদাচরণের পরও তাকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার অপসারণ না করায় আমরা স্থানীয়রা ভীত সন্ত্রস্ত।

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা ওসির এসব অসদাচরণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি তখনই আমাদের কারও না কারও বিরুদ্ধে ওসি ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরও তা কি তদন্ত হয়, তা একমাত্র পুলিশ প্রশাসনই জানে। আমরা এই ওসির দ্রুত অপসারণ চাই। তাহলে মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

এ সময় ‎ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী নামে আরেক বাসিন্দা বক্তব্য রাখেন। 

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ওসির এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করে আসছি। তার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকার পরও পুলিশ হেডকোয়ার্টার তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 

‎ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী আরও বলেন, এ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ওসিকে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। বাসিন্দারা থানায় সেবা নিতে এসে নানাভাবে অসদাচরণের শিকার হচ্ছেন। এগুলো নিয়ে এখন পর্যন্ত পুলিশ হেডকোয়ার্টার, ডিএমপি কমিশনারসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দেওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা হতাশ। 

তিনি বলেন, আমরা চাই এই ওসির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তাকে প্রত্যাহার করবে সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় তিন রাস্তা মোড়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা, আইনি সহায়তা ও ওসির অসদাচরণ এবং পুলিশের গাফিলতির অফিযোগ তুলে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন আহমাদ ওয়াদুদ নামে এক সাংবাদিক। 

পোস্টে তিনি লেখেন, আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরে আমার সঙ্গে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা আমার একটি মোবাইল ফোন এবং কিছু টাকা-পয়সাসহ মানিব্যাগ নিয়ে যায়। আমাকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোবাইল উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালের পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই জসিম উদ্দিন, এএসআই আনারুল এবং পুলিশ সদস্য মাজেদুর রহমান ও মো. নুরুন্নবী।

আরটিভি/আইএম